ভূমিতি ।। শু ভ্র জি ৎ ব ড়ু য়া
ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে থেকে আমি হাঁটছি।
কখনো শূন্যে, কখনো অরণ্যে
কখনো বাতাসে, কখনো আকাশে,
কখনো আবার স্থলে বা জলে।
মায়ের গর্ভেও আমি হেঁটেছি;
অনুরণন থেকে নিউরনে
আমার যাতায়াত ছিল হরহামেশা।
আমাকে ভূমিষ্ঠ করার আহবানে
পৃথিবী যখন আলোড়িত
তখনও সে ডাক আমার ইশারা বঞ্চিত।
কিন্তু তার ভালোবাসাকে উপেক্ষার জোর
আমার কখনোই ছিল না।
তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও
দ্বিধাহীন সারল্যে ভূমিষ্ঠ হলাম,
মুখোশে ঢাকা মানুষ হয়েছি
তাকে কাছে পাবার প্রলোভনে।
অনেক বোঝা না বোঝার পর
একসময় আমি বুঝতে শিখলাম,
জানতে শিখলাম- এসব বড্ড অর্থহীন।
অতঃপর আমার পরিবর্তন হলো;
পানি থেকে যেভাবে আলাদা হয়ে যায়
অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন
তেমনি ভালোবাসা থেকে বেরিয়ে আসলো-
মোহ ও ভ্রম।
এতে সারল্য ছিলো, বোধের প্রাচুর্য ছিলো;
কিন্তু কেউ তা বুঝতে রাজী হলো না।
মোহ ও ভ্রম ব্যতীত ভালোবাসা দুর্বোধ্য
এখানে উন্মাদীয় প্রকাশ নেই।
তখন ছেড়ে আসি আমার আগমনী লক্ষ্য
মগজের প্রশ্রয়ে গড়ে নিলাম- জীবন।
তখনই আমার বৈরাগ্য আসে
বৈরাগ্য আসে- জীবনের প্রতিটি বোধে;
বোধ আমাকে শেখায়-
জীবন সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান
জন্মের সূচনা থেকে মৃত্যু
আমরা দস্তুর প্রাতিষ্ঠানিক।
আর আমি হেরে যাই সময়ের কাছে
যে সময় তোমাকে নিয়ে চলে গেছে
দূর থেকে বহুদূরে
যেখানে আমার জন্মের একমাত্র লক্ষ্য
পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে থাকে সময়ের অনেক পিছনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন